আসসালামু আলাইকুম আশা করি সকলেই অনেক ভাল আছেন।
আজকে আলোচনার বিষয় হচ্ছে অনলাইন থেকে ইনকামের উপায় সম্পর্কে। আজকে আমরা জানবো কিভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়।
অনলাইনে আয়ের অনেক মাধ্যম রয়েছে তার মধ্য থেকে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করা। তাছাড়া ব্লগিং, ড্রপশিপিং বিজনেস এবং আরো অন্যান্য উপায়ে আয় করা যায়।
আমি আজকে অনলাইন থেকে ৭ টি আয়ের উপায় বলবো, এই পথগুলো অবলম্বন করে অবশ্যই আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
 |
অনলাইন থেকে আয় করার সহজ ৭ টি উপায় |
অনলাইন থেকে ৭ টি আয়ের উপায় গুলো হলো :
1) Freelancing
2. Blogging
3. POD (Print-on-demand)
4. Affiliate Marketing
5. Photo Selling
6. Dropshipping Business
7. Digital Products Selling
তো চলুন আমরা জেনে নেই এক এক করে ৭ টি উপায়
1. Freelancing
ফ্রিল্যান্সিং করে হাজার হাজার ডলার আয় করে নিচ্ছে দেশ ও দেশের বাইরের ফ্রিল্যান্সাররা। সবচেয়ে জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হচ্ছে ফাইভার, ফাইভারে প্রায় 380,000 সেলার রয়েছে, যারা প্রতিদিন বিভিন্ন বায়ারের কাজ করে থাকে।
আপনিও পারেন ফ্রিল্যান্সিং জব করতে। তবে আপনাকে অবশ্যই কোন মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করার আগে যেকোনো একটি ক্যাটাগরির উপর ভালোভাবে দক্ষতা অর্জন করতে হবে, যাতে করে বায়ারের কাজ সঠিকভাবে করতে পারেন এবং জমা দিতে পারেন।
মনে রাখবেন আপনার প্রথম কাজেই যাতে বায়ার খুশি হয়ে ফাইভ স্টার রেটিং প্রদান করে, এতে করে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে ভালো প্রভাব ফেলবে।
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অনেক মার্কেটপ্লেসি রয়েছে, যেমন: Fiverr, Upwork, Freelancer, Kwork, Legiit, PeoplePerHour, Truelancer etc. এসব বড় বড় মার্কেটপ্লেস থেকে যদি কাজ পেয়েই যান তাহলে তো অনেক ভালো। তবে নতুনদের জন্য আমি সাজেস্ট করব Sproutgigs মার্কেটপ্লেস।
এখানে ছোট কাজ হয়ে থাকে, গিগের মূল্যও অনেক কম, যেসব বায়ারদের বাজেট কম তারাই এখানে কাজ দিয়ে থাকে। এখানে সেলারের পরিমান খুবই কম এবং কম্পিটিশনও খুবই কম, তাই এখান থেকে প্রথম অবস্থায় কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে। আপনি যদি একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন তাহলে এই মার্কেটপ্লেসটিতে কাজ পাওয়ার চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
To create an account on Sproutgigs CLICK HERE
2. Blogging
অনেকে ব্লগিংয়ের মাধ্যমেও হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে, আপনার হাতে থাকা স্মার্টফোন দিয়েও আপনি ব্লগিংয়ের কাজ শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে প্রচুর ধৈর্য ধরতে হবে এবং পরিশ্রম করতে হবে আপনি যখন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন এবং নিয়মিত লেখালেখি করবেন তখন আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আসবে অতঃপর গুগল এডসেন্স বা অন্যান্য এড নেটওয়ার্ক "Adsterra" Monetag" থেকে ইনকাম করতে পারবেন এবং এফিলিয়েট মার্কেটিং করেও ইনকাম করতে পারবেন।
শুরু করার জন্য সর্বপ্রথম আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকতে হবে। ব্লগিং ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য পপুলার দুইটি সি এম এস রয়েছে, Blogger এবং Wordpress।
Blogger সি এম এস দিয়ে আপনি ফ্রিতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে পারবেন, এখানে ডোমেইন এবং হোস্টিং উভয়টাই ফ্রিতে পেয়ে যাবেন, আপনি যদি একটি কাস্টম ডোমেইন এড করে নেন তবে এটা আপনার ব্লগের জন্য অনেক উপকারী হবে।
আপনি যদি ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয় করে নিতে পারেন তবে আপনার জন্য ওয়ার্ডপ্রেস হবে বেস্ট। তবে প্রাথমিক অবস্থায় ব্লগার সি এম এস দিয়েও আপনি ব্লগিং শুরু করতে পারবেন।
ব্লগিং করে শুধুমাত্র ad network এর ইনকামের মধ্যে সীমাবদ্ধতা নয়, আপনি চাইলে আপনার ব্লগের মাধ্যমে ইফিলিয়েট মার্কেটিং করেও ইনকাম করতে পারবেন।
3. POD (Print-on-demand)
অনলাইনে আয়ের অনেক উপায় রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে POD Business (প্রিন্ট অন ডিমান্ড)।
প্রিন্ট অন ডিমান্ড ব্যবসা করেও আপনি ঘরে বসে অনলাইন থেকে রোজগার করতে পারবেন। অনলাইনের ইনকামকে আমরা দুই ভাগে বিভক্ত করতে পারি, এক্টিভ ইনকাম এবং প্যাসিভ ইনকাম।
এক্টিভ ইনকাম হচ্ছে আপনি যতক্ষণ পর্যন্ত কাজ করবেন ততক্ষণ পর্যন্তই আপনার ইনকাম হবে, কাজ বন্ধ করে দিলে আপনার ইনকামও বন্ধ হয়ে যাবে, যেমন ফ্রিল্যান্সাররা ক্লায়েন্ট এর কাজ যতক্ষণ পর্যন্ত করে ততক্ষণ পর্যন্তই ইনকাম হবে, কাজ করা বন্ধ করে দিলে তখন তখন আর ইনকামও হবে না।
প্যাসিভ ইনকাম হচ্ছে সবসময়ই আপনার ইনকাম হতে থাকবে, আপনার ইনকাম বন্ধ হবে না। শুরুতে আপনি কিছু কাজ করে ফেলার পর ওই কাজ থেকেই আপনার ইনকাম হতে থাকবে। আপনি কোন একটা ডিজাইন তৈরি করে মার্কেটপ্লেসে আপলোড দিয়ে রাখলেন আর সেই ডিজাইনটা যত বেশি সেল হবে আপনার ইনকামও তত বেশি হতে থাকবে।
উপরের ব্যাখ্যা অনুযায়ী POD Business কে আমরা প্যাসিভ ইনকাম এর অন্তর্ভুক্ত করতে পারি। এই ব্যবসার চাহিদাও মার্কেটপ্লেসে এখন প্রচুর রয়েছে, আপনি চাইলে এ ব্যবসা শুরু করে প্যাসিভ ইনকাম শুরু করতে পারেন।
কোন কাজ শুরু করার আগে তা নিয়ে রিসার্চ করা অত্যন্ত জরুরী, অন্যরা কিভাবে এই কাজ করছে তা নিয়ে রিসার্চ করা খুবই জরুরী। আপনার কম্পিটিটারদেরকে পিছে ফেলে এগিয়ে যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে এক্সপার্ট হতে হবে।
অনেকে মার্কেট রিসার্চ না করে কাজে নেমে পড়ে এক্ষেত্রে সফলতা পাওয়ার চান্সটা খুবই কম থাকে, এই ব্যবসায় সফল হওয়ার জন্য আপনাকে মার্কেট রিসার্চ এবং নিশ সিলেক্ট করতে হবে। নিচে কিছু নিশ তুলে ধরা হলো, চাইলে আপনি নিম্নলিখিত নিশগুলো নিয়ে কাজ করতে পারেন।
১) ফোন কভার
২) নোটবুক
৩) স্টিকার
৪) ব্যাগ
৫) টি শার্ট
৬) মগ
৭) তোয়ালে
৮) স্টেশনারি
এগুলো ছাড়াও আরো অনেক নিশ রয়েছে, আপনি চাইলে আপনার ইচ্ছামত যেকোনো নিশ নিয়ে কাজ করতে পারেন, তবে মনে রাখবেন মার্কেট রিসার্চ করা অত্যন্ত জরুরী, মার্কেটে কোন ডিজাইন বেশি চলছে সেই ডিজাইন অনুযায়ী ডিজাইন তৈরি করার চেষ্টা করবেন, তাহলে সেল বেশি আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
POD Business করার জন্য অসংখ্য মার্কেটপ্লেস রয়েছে, নিচে আটটি মার্কেট প্লেসের নাম দেয়া হল।
👇👇👇
1) Zazzle
2) Printful
3) Teefury
4) Sunfrog
5) Teespring
6) Fine Art America
7) Printify
8) Redbubble
এছাড়াও আরো অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেগুলোতে আপনি আপনার ডিজাইন আপলোড করে রাখতে পারেন, যদি সেল আসে তার থেকে একটা কমিশন আপনি পাবেন, আপনার কাজ হচ্ছে শুধু ডিজাইন করা এবং আপলোড দেয়া বাকি সমস্ত কাজ মার্কেটপ্লেসের, বায়ারের কাছে আপনার ডিজাইন তুলে ধরা এবং সেল করা সমস্ত দায়িত্ব মার্কেটপ্লেসার।
4. Affiliate Marketing
এফিলিয়েট মার্কেটিং করেও আপনি ঘরে বসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন, এর জন্য প্রয়োজন অডিয়েন্স বা ফলোয়ার্স, আপনার যত বেশি অডিয়েন্স থাকবে আপনি তত বেশি ইফিলিয়েট প্রোডাক্ট প্রচার করে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনার যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকে অথবা ফেসবুক পেজ থাকে অথবা একটি ওয়েবসাইট থাকে যেখানে আপনার হিউজ পরিমান অডিয়েন্স আছে, তাদের কাছে এফিলিয়েট লিংক প্রচার করে ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন। আপনার লিংকে ক্লিক করে যদি তারা প্রোডাক্ট ক্রয় করে তবে আপনিও একটা কমিশন পাবেন, এটাই হচ্ছে এফিলেট মার্কেটিং।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করতে পারি?
ইফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে প্ল্যাটফর্ম খুঁজে নিতে হবে। আপনি চাইলে অ্যামাজন, আলীএক্সপ্রেস বা দারাজ এই সমস্ত প্লাটফর্মের প্রোডাক্ট প্রচার করে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন, এছাড়াও আপনি চাইলে ফাইভারের সাথেও এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। আপনার লিংকে ক্লিক করে যদি কেউ ফাইভার গিগে অর্ডার দেয় সেখান থেকে আপনি একটা কমিশন পাবেন।
ইফিলিয়েট মার্কেটিং করে সবচেয়ে বেশি আয় করতে পারবেন যদি আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকে। আপনার ওয়েবসাইটে অ্যামাজন, আলীএক্সপ্রেস এর প্রোডাক্ট নিয়ে কিছু লিখবেন তারপর আপনার এফিলিয়েট লিংকটা সেখানে দিয়ে দিবেন আপনার এই লিংকে ক্লিক করে যদি কোন কাস্টমার প্রোডাক্ট কিনে তাহলে আপনি কমিশন পাবেন।
ঠিক তেমনি আপনার যদি একটা ইউটিউব চ্যানেল থাকে অথবা ফেসবুক পেজ থাকে আপনি যেই প্রোডাক্ট প্রচার করে ইনকাম করতে চাচ্ছেন ওই প্রোডাক্ট নিয়ে একটা ভিডিও তৈরি করবেন এবং ওই ভিডিও ইউটিউবে আপলোড দিবেন, তারপর ভিডিও ডেসক্রিপশন এ আপনার এফিলিয়েট লিংকটা দিয়ে দিবেন, আপনার লিংক থেকে যদি কেউ প্রোডাক্ট ক্রয় করে তবে আপনি আপনার কমিশনটা পাবেন।
এই ছিল ইফিলিয়েট মার্কেটিং এর সংক্ষিপ্ত আলোচনা।
5. Photo Selling
অনলাইনে ছবি বিক্রি করে আয়
আপনি কি ছবি তুলতে ভালোবাসেন? যদি তাই হয় আপনি ছবি তুলে তা বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন, আমি বলছি না মেয়েদের ছবি তুলে বিক্রি করার কথা, আমি বলছি প্রাকৃতিক দৃশ্য বা গাছ গাছালি পাহাড় পর্বত এ সমস্ত ছবি তুলে আপনি অনলাইনে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি কোন আকর্ষণীয় দৃশ্যের ছবি তুলতে পারেন যা মানুষের কাছে পছন্দের সমুদ্র, নদী, বন জঙ্গল অথবা কোন বন্যপ্রাণীর ছবি তুলতে পারেন যা মানুষ দেখে পছন্দ করে, যেটা দেখলে যে কেউ কিনতে আগ্রহী হয় তবে এ সমস্ত ছবি আপনি অনলাইনে বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন।
ছবি ক্রয় বিক্রয়ের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় প্লাটফর্ম হচ্ছে Shutterstock এখানে আপনি ছবি বিক্রয় করে ইনকাম করতে পারবেন অথবা যদি চান আপনি এখান থেকে ছবি ক্রয় করতে পারবেন।
আপনার যদি কোন অনলাইন বিজনেস থাকে আর তার জন্য কোন ইমেজের প্রয়োজন হয় তখন এই প্লাটফর্ম থেকে আপনি কিনে নিতে পারবেন, প্রথমে সাইনআপ করার পরে আপনাকে দশটি ইমেজ ফ্রিতে ডাউনলোড করতে দিবে অতঃপর আপনাকে কিনে নিতে হবে।
অনেকে বলতে পারেন গুগলে সার্চ দিলে অসংখ্য ইমেজ পেয়ে যাচ্ছি এখান থেকে যে কোন একটা ব্যবহার করলেই তো হয়, বিষয়টা যদি এমনই হতো তাহলে যে কেউ অন্য কারো ছবি তার বিজনেসের জন্য ব্যবহার করত আপনি যদি অন্য কারো ছবি লাইসেন্স ব্যতীত ব্যবহার করেন তবে google এটাকে কপি রাইট হিসেবে ধরে নিবে তখন আপনার ওয়েবসাইট গুগল থেকে র্যাঙ্ক হারাবে আপনি প্রচুর কাস্টমার লঞ্চ করবেন।
অতএব আপনার বিজনেস ওয়েবসাইটের জন্য অন্য কারো ছবি তার লাইসেন্স ছাড়া ব্যবহার করতে পারবেন না, আপনি চাইলে শাটারস্টক থেকে ইমেজ ক্রয় করে ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার ওয়েবসাইট সুরক্ষিত থাকবে।
6. Dropshipping Business
অনলাইন থেকে আয় করার আরো একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ড্রপশিপিং বিজনেস, ড্রপশিপিং বিজনেস করে আপনি প্রতিমাসে মোটা অংকের এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি ঝামেলা মুক্ত বিজনেস করতে চান তাহলে আপনি ড্রপশিপিং বিজনেস শুরু করতে পারেন। আমি ঝামেলা মুক্ত বললাম কারণ এই বিজনেস করতে হলে আপনাকে কোন ধরনের পণ্য তৈরি বা ডেলিভারি দেওয়ার ঝামেলা পোহাতে হবে না। শুধুমাত্র আপনার একটি ওয়েবসাইট থাকলেই হবে।
আপনি যেই সাপ্লায়ারের প্রোডাক্ট সেল করবেন সম্পূর্ণ তার দায়িত্ব হচ্ছে প্রোডাক্ট তৈরি এবং ডেলিভারি করা। আপনি শুধু তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে প্রোডাক্ট সেল করবেন এবং এর মাধ্যমে ইনকাম করবেন।
আপনাকে বেছে নিতে হবে আপনি কোন প্লাটফর্মের প্রোডাক্ট সেল করবেন। অ্যামাজন (Amazon), আলি এক্সপ্রেস (Aliexpress) এছাড়া আরো অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে যেখান থেকে আপনি প্রোডাক্ট সেল করে ইনকাম করতে পারবেন।
কোন একটা প্রোডাক্টের দাম যদি ১০০০ টাকা হয় আপনি ওই প্রোডাক্টটিকে ১৫০০ টাকায় বিক্রি করবেন।১০০০ টাকা সাপ্লায়ার কে দিয়ে দিতে হবে, যার প্রোডাক্ট আপনি সেল করেছিলেন বাকি ৫০০ টাকা আপনার লাভ। আপনি যত বেশি মূল্যে বিক্রি করতে পারবেন তত বেশি আপনি লাভ করতে পারবেন।
নির্ধারিত টাকাটা সাপ্লায়ার কে দেওয়ার পরে বাকি যা অবশিষ্ট থাকবে সবটুকুই আপনার। ড্রপশিপিং বিজনেস করতে হলে অবশ্যই আপনাকে একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট বানাতে হবে। যেখানে আপনি প্রোডাক্টগুলো সাজিয়ে রাখবেন এবং কাস্টমাররা তা দেখে পছন্দ হলে অর্ডার করবে এক্ষেত্রে আপনাকে আপনার সাপ্লায়ারের প্রোডাক্ট এর সকল তথ্য সংগ্রহ করতে হবে যাতে করে প্রোডাক্টের বিস্তারিত বর্ণনা আপনি আপনার ই-কমার্স ওয়েবসাইটে তুলে ধরতে পারেন।
আমি এখানে বিস্তারিত আলোচনা করছি না, শুধুমাত্র আপনাদেরকে জানিয়ে রাখা উদ্দেশ্য ছিল যে ড্রপশিপিং বিজনেস করেও লাখ লাখ টাকা ইনকাম সম্ভব, যা ইতিমধ্যে অন্যরা করতেছে।
7. Digital Products Selling
অনলাইন থেকে ইনকাম করার আরো একটি জনপ্রিয় উপায় হচ্ছে ডিজিটাল প্রোডাক্ট সেল করে ইনকাম করা। আপনার যদি কোন ডিজিটাল স্কিল থেকে থাকে তবে আপনি এটিকে মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি একজন ওয়েব ডেভলপার হন তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরনের টেমপ্লেট সেল করে ইনকাম করতে পারবেন, আপনি যদি এলিমেন্টর দিয়ে লেন্ডিং পেজ তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি ওই পেজটি সেল করে ইনকাম করতে পারবেন।
তাছাড়া আপনি থিম তৈরি করে তা বিক্রি করতে পারেন যদি আপনি থিম ডেভেলপ করতে পারেন। আপনি চাইলে শপিফাই এর ল্যান্ডিং পেজ তৈরি করে সেল করতে পারেন, শপিফাই এর ল্যান্ডিং পেজ তৈরি করতে পেজফ্লাই (Pagefly Landing Page Builder) অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি যদি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে থাকেন তাহলেও আপনার ডিজাইন বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন। canva, Photoshop, Illustrator, এসব সফটওয়্যারের মাধ্যামে যদি অ্যাট্রাক্টিভ ডিজাইন তৈরি করতে পারেন, তবে অবশ্যই আপনার প্রোডাক্টে সেল আসবেই।
ডিজিটাল প্রোডাক্ট সেল করার জন্য অসংখ্য মার্কেট প্লেস রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে Etsy, কিন্তু দুঃখের বিষয় হল, বাংলাদেশ থেকে এই মার্কেট প্লেসে বৈধভাবে অ্যাকাউন্ট করা যায় না। চিন্তার কোন কারণ নেই এছাড়াও আরো অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে আমরা আমাদের ডিজিটাল প্রোডাক্ট সেল করতে পারবো।
Buy me a coffee এই মার্কেটপ্লেসটিও জনপ্রিয় চাইলে আপনারা এই মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট করে আপনার তৈরিকৃত ডিজিটাল প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন। বাংলাদেশ থেকে খুব সহজেই এই মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্ট করা যায়।
সংক্ষিপ্ত আকারে ডিজিটাল প্রোডাক্ট সেল করে কিভাবে ইনকাম করবেন তা আলোচনা করার চেষ্টা করেছি, যদি বিস্তারিত জানতে চান অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন।
Post a Comment